• ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ৩১ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Republic

সম্পাদকীয়

'মেরা দেশ মহান হ্যায়'...... প্রজাতান্ত্রিক দেশ কতটা এগিয়েছে

প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস, দেশ প্রেমিক দিবস কত কিছু ঘটা করে পালন করা হয়। ফাইভ জি-র যুগে এসবের প্রচার বেড়েছে। সোশাল মিডিয়া ছয়লাপ হচ্ছে দেশপ্রেমের বাণীতে। নানা বাণী আওড়াচ্ছেন দেশ নেতারা। কিন্তু ভিন গ্রহে যান পাঠাক বা শয়ে শয়ে উপগ্রহ প্রেরণ করুক আদৌ দেশ কতটা এগিয়েছে সেই প্রশ্ন সবার আগে। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুব্যবস্থা কী আজও দেশ করতে পেরেছে? এটাই মূল প্রশ্ন। অযথা ভাষনবাজি বন্ধ হওয়া দরকার। দেশের পতাকা বহণ করার জন্য যে শক্তি অর্জন করা দরকার তা আজ কজনের মধ্যে রয়েছে, সেই প্রশ্ন নিয়েই বড় বিতর্ক। মেরা দেশ মহান হ্যায়......ফ্রি-তে রেশন, সরকারি অনুদান তারপরেও দেশের কোটি কোটি মানুষ ক্ষুদার্থ। কোনও পরিসংখ্যান ঘাঁটার দরকার নেই, এলাকায় এলাকায় ঘুরলেই এই দৃশ্য পরিলক্ষিত হবে। কত মানুষ আজও খালি আকাশের নীচে বাস করে বা ফুটোফাটা ঘরে বাস করে তা-ও বলার দরকার নেই। গরিব-গুর্বো মানুষগুলিই এর জ্বলন্ত উদাহরণ। গরিবী হটাও-এর দাবি করে নির্বাচনে লড়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, দেশের মানুষ আজ কী দেখতে পাচ্ছেন? দেশ বা রাজ্যের শাসকদলগুলি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিল। বাস্তব কী কথা বলছে তা বোধহয় মনে করালেই যথেষ্ট। তাহলে অন্নের সংস্থান কোথা থেকে হবে। রেশনের চাল-ডাল সেদ্ধ করার বাকি যোগান কোথা থেকে আসবে, কাঁচা চিবিয়ে খেলেই হল আর কী! যে লোকগুলি পতাকা উত্তোলন করে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে তাঁর পাশের বাড়ির লোকটা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে, অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারছে না, অতিকষ্টে পড়াশুনা করেও কাজ জুটছে না। এটাই আজ সব থেকে বড় বাস্তব। জোর গলায় বলছে, মেরা দেশ মহান হ্যায়.......মানুষ যেমন এখন ভয়ঙ্কর আত্মকেন্দ্রীক তেমনই রাজনীতির একটা বড় অংশ পকেট ভরতেই ব্যস্ত। অভিজ্ঞ লোকেরা তো বলেই ফেলছে সব থেকে বড় ব্যবসা এখন রাজনীতি। যাঁরা ভোটে দাঁড়ায় তাঁদের পেশা লেখা রয়েছে হয় সমাজসেবা অথবা রাজনীতি। কেউ কী বলতে পারেন এভাবে কার কতা টাকা রোজগার হতে পারে? তাঁদের স্ত্রীদের কাছে আরও অর্থ এবং সম্পদ রয়েছে। আজ একজন কাউন্সিলরের অর্থ ও সম্পত্তির পরিমান শুনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরাও ভিমরি খাচ্ছেন। যদিও এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। শ্রেণি সংগ্রাম করতে গিয়েও কেউ কেউ ক্রোড়পতি হয়েছেন বামআমলে। কোনও পিছিয়ে পড়া পরিবারের গরু-ছাগল বাদ দিয়ে সকলেই চাকরি জুটিয়ে নিয়েছেন। খোঁজ করলে এসবও মিলবে। পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড় দেখলে বোঝা মুশকিল হয় না কেন আকর্ষণ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের একটা টিকিট পেতে। পেশাগত ভাবে সফল হলে তিনিও সমাজের কথা ভুলে যান। নিজ পরিবার ছাড়া কারও স্বার্থ নিয়ে তাঁরাও ভাবিত নয়। অথছ সমাজ না থাকলে,সাধারণ মানুষের যোগান দেওয়া অর্থে পড়াশুনা না করলে তিনি পেশাদার হতে পারতেন না।একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে কেউ হাসপাতালে যাক, একজন মানুষ কোনও সরকারি দফতরে গিয়ে দেখুক। কী অসাধারণ ব্যবস্থাপনা! অসহায় পরিস্থিতি কাকে বলে তা টের পেতে বাধ্য। অনলাইনে জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিয়ে নেতা-মিডিয়া হইহুল্লোর জুড়ে দেয়। এদিকে ঘাটালের এক কিশোর বাবার মৃত্যুর সার্টিফিকটে নিতে গিয়ে মহানগরের রাস্তা যখন কান্নায় ভেজায় তখন তাঁর খোঁজ কে রাখে? এসবের কোনও সমাধান আছে কি প্রশ্ন সেটাই। ১০ কোটি লোকের একটা ঘটনা কোনও মিডিয়া তুলে ধরলে সেটা কখনও সার্বিক হয় না। প্রচারের ঢক্কা নিনাদেই দেশ আজ শিখরে পৌঁছিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থার কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। মেরা দেশ মহান হ্যায়......প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের সঙ্গে প্রজাদের হিতের কথা ভাবা দরকার। গরিবী হটানোর স্লোগান না দিয়ে গরিবের জন্য কাজ করা দরকার। ভাষণ না দিয়ে গরিবী দূর করার প্রকল্প নিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সহ হাজারো কার্ড না করে চিকিৎসার উপযোগী ব্যবস্থাপনা তৈরি করুক। সব থেকে বড় বিষয় এক সময় বামেদের দাবি ছিল অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সংরক্ষনের, তারাও এখন ওইসব দাবি নিয়ে পথে নামে না। এখন জাত-পাত তস্য জাত-পাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চলছে রাজ্য তথা দেশে। কেন অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়াদের জন্য রাষ্ট্র ভাববে না। মানুষের জন্যই রাষ্ট্র, মানুষ মানুষের জন্য, একথা যতদিন বাস্তবায়িত না হবে ততদিন টুইট বার্তা বা পতাকা তুলে দেশের কোনও উন্নয়ন হবে না। যে উন্নয়ন ঘটেছে তা নিয়ে লাফালাফি করার কিছু নেই। বিশ্বের বহু দেশ নানা ক্ষেত্রেই ভারতের থেকে এগিয়ে গিয়েছে। তবুও মেরা দেশ মহান হ্যায়.......

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
কলকাতা

সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডে কড়া নিরাপত্তা

প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ছে কলকাতা। শহরের আনাচে-কানাচে চলছে নজরদারি। মূল অনুষ্ঠানের জায়গাতেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।রেড রোডে যেখানে প্যারেড হবে, সেখানে আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১০০ পুলিশ থাকবে রেড রোডে। অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার কর্তারা থাকবেন। রেড রোডে ১১টি জোন প্রস্তুত করা হয়েছে। দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার কর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৬ টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। তার মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে পুলিশ পিকেটিং থাকবে।প্যারেডে এবার মূল আকর্ষণ নেতাজির ট্যাবলো। ইতিমধ্যেই তা প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই নেতাজি ট্যাবলোকে রেড রোডের কুচকাওয়াজে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লির অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের নেতাজি ট্যাবলো বাদ পড়ার পরেই রেড রোডের কুচকাওয়াজে নেতাজি ট্যাবলো রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।রেড রোডে কড়া নিরাপত্তা কীভাবে সাজানো হয়েছে জানুন-১। কোভিডের কারণে এবারও দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। ভিআইপি সংখ্যাও কমানো হয়েছে, যাতে কোভিডবিধি ভঙ্গ না হয়।২। রেড রোডে মূল অনুষ্ঠানের জায়গাকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। শহরজুড়ে চলবে নজরদারি। নিরাপত্তার জন্য রেড রোড সংলগ্ন এলাকাকে ১১ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে একজন করে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। প্রত্যেক জোনকে একাধিক সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে।৩। রেড রোডের চারপাশে ৫ টি স্যান্ড বাংকার থাকবে।৪। ৯ ডিভিশনে ২৬ টি পিসিআর ভ্যান থাকবে।৫।১২ টি এইচআরএফএস গাড়ি থাকবে। মোটরবাইক প্যাট্রোল টিম ৮ টি।৬। ৬ টি ওয়াচ টাওয়ার। মোতায়েন থাকবে ৩ টি কুইক রেসপন্স টিম।৭। রেড রোডে বিশেষ কন্ট্রোল পোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।৮। শহরে ঢোকা বেরোনোর প্রত্যেকটি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলবে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
কলকাতা

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কড়া নিরাপত্তা কলকাতা মেট্রোতে, কোথায় কোথায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জেনে নিন

প্রজাতন্ত্র দিবসের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা কয়েক গুন বাড়ানো হল কলকাতা মেট্রোতে। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হল। মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ৮০০ রেলপুলিশের কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কলকাতা মেট্রোর যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।১. বিভিন্ন স্টেশনে মোতায়েন থাকবে রেল পুলিশের কর্মীরা। সময় ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। নির্দিষ্ট দিনে যাতে কোনও রকম নাশকতামূলক ঘটনা কলকাতা মেট্রোতে না ঘটে, সেই কারণে এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।২. বেশ কয়েকটি কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করা হয়েছে, যাতে বিপদ বুঝলেই সতর্ক হওয়া সম্ভব হয়। প্রতিটি টিমে থাকবেন ৫ থেকে ৬ জন করে নিরাপত্তাকর্মী।৩. মহিলা এবং শিশু যাত্রীদের জন্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিশেষ মহিলা সিকিউরিটি টিম তৈরি করা হয়েছে। তাঁরাও স্টেশনগুলিতে উপস্থিত থাকবেন।৪. স্নিফার ডগ প্রস্তুত রাখা হচ্ছে স্টেশনগুলিতে। নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না কর্তৃপক্ষ।৫. একই সঙ্গে মেট্রোর যে সমস্ত সম্পত্তি রয়েছে সেগুলোর যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত নজরদারি রাখা হচ্ছে কলকাতা মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে।৬. মেট্রোতে যে সমস্ত ইলেকট্রিক ইনস্টলেশন রয়েছে সেগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে।৭. কলকাতা মেট্রো রেল লাইনের ওপর বিশেষ নজরদারি থাকবে। পরিষেবা শুরু হওয়ার আগে এবং পরিষেবা শেষ হওয়ার পর রাখা হবে নজরদারি। মেট্রোরেলের কারশেডেও নজর রাখা হবে।কলকাতা মেট্রো রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ জানিয়েছেন, নাশকতা মূলক কার্যকলাপ যাতে কলকাতা মেট্রোতে না ঘটে এবং তা রুখতে সম্পূণর্ প্রস্তুত থাকছেন তাঁরা।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
দেশ

সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীতে বড়সড় জঙ্গি নাশকতার সতর্কতা, নিশানায় প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর হামলার ষড়যন্ত্র! প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশের একাধিক জায়গায় নাশকতার ছক! গোয়েন্দাদের এই গোপন রিপোর্ট ঘিরে দিল্লির নিরাপত্তা তুঙ্গে।সূত্রের খবর, এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করতে চাইছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। একাধিক নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। ভারতে বড়সড় হামলার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হরকত-উল-মুজাহিদি ও হিজবুলের টার্গেট এবার ভারত। এখানেই শেষ নয়, গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে আরও হাঁড়হিম করা তথ্য। তাঁরা জানতে পেরেছেন, জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর উপর প্রাণঘাতী হামলার ছক কষছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো।গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা খলিস্তানি গোষ্ঠী ক্যাডার পাঠিয়ে পঞ্জাবে অশান্তির ছক কষছে। শুধু পঞ্জাব নয়, অন্যান্য রাজ্যেও হামলা চালানো হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কাশ্মীরে সিআরপি-র কুইক অ্যাকশন টিম (কিউএটি)-এর ধাঁচে বিশেষ কিউএটি গঠন করছে কেন্দ্র। দিল্লিতে জঙ্গি হানা বা আত্মঘাতী হামলার মোকাবিলাই ওই বিশেষ দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য। প্রয়োজনে ভিভিআইপি কিংবা সংসদ ভবনের নিরাপত্তার জন্যও কিউএটি-কে কাজে লাগানো হতে পারে। কাশ্মীর বা মাওবাদী অধ্যুষিত অঞ্চলে যাঁরা সফলভাবে জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছেন, এমন বাছাই করা ৫০ জন সিআরপি কমান্ডো থাকবেন দিল্লি কিউএটি-তে। তাঁদের কাছে থাকবে দিন ও রাতে অভিযান চালানোর উপযুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

"নেতাজি" সুভাষচন্দ্র বসু-র ট্যাবলো বাতিল করলো কেন্দ্র সরকার, প্রতিবাদে মুখর 'বাংলা পক্ষ'

একদিকে যখন বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করছে এই বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হবে, সরকার আরও জানিয়েছে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ২০১৯ এ নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার, এবং এই উপলক্ষে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল হলে এক মনোজ্ঞ অনুষ্টানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অদ্ভুত ভাবে সেই সরকারই ২৬ শে জানুয়ারী-র সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ উপলক্ষে বীর সুভাষ ও আজাদ-হিন্দ-ফৌজ-কে কেন্দ্র করে তৈরি বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। একই সরকারের এই দ্বিমুখী আচরণে অবাক সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজন।এই আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে বাংলা পক্ষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষি কোনও ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে এই বাংলা প্রেমী সংগঠন। তাঁরা তাদের টুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। জনতার কথার প্রতিনিধি কে বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, বাঙালির শত্রু বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার। বিজেপি ও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র সরকারের সর্বদাই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী চরিত্র দেখি আমরা।আরও পড়ুনঃ নেতাজির জীবন নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেবাংলা পক্ষ-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যখন বাঙালি বীর সন্তানরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিচ্ছে তখন আরএসএস ব্রিটিশের দালালি করতো। ইতিহাসক্রমেই বিজেপি ও আরএসএস (RSS) সুভাষ বিরোধী। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসে সুভাষের নামাঙ্কিত বাংলার ট্যাবলো বাতিল হওয়ায় দিল্লির সুভাষ বিরোধিতা আরও প্রকট ভাবে প্রকাশিত হল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাঙালি বিরোধী বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে ধিক্কার জানিয়ে ট্যুইটার প্রচার শুরু করেছে বাংলা পক্ষ। যদিও এবিষয়ে আরএসএসের কোনও মন্তব্য মেলেনি।বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, বাঙালিদের তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন #AntiNetajiBJP হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে ট্যুইটারে ঝড় তোলার জন্য। এছাড়াও আরও একটি হ্যাসট্যাগ #BengalNetajibannedinDelhi তাঁরা ব্যবহার করছেন এই প্রচারে। হাজার হাজার ট্যুইটের মাধ্যমে সুভাষচন্দ্রের অমর্যাদার প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আবেদন তাঁরা রাখছেন সমগ্র ভারতীয়দের কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন সুভাষচন্দ্র শুধু বাঙালির গর্ব নয় সমগ্র ভারতবর্ষের অলঙ্কার।কৌশিক মাইতি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলা পক্ষ এই ট্যুইটার প্রচারে আরও কয়েকটি দাবি রেখেছে সেগুলি হলঃ১. সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কিত সমস্ত ফাইল প্রকাশ করতে হবে।২. ভারতীয় সেনায় বাঙালি রেজিমেন্ট চাই।৩. ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ চাই।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
দেশ

নেতাজির জন্মদিবস থেকেই সাধারণতন্ত্রদিবস পালন শুরুর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

এবার ২৩ জানুয়ারি থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হবে, ঘোষণা কেন্দ্রের। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে মর্যাদা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। গত বছর নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। এবার থেকে প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান শুরু হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে।সাধারণত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ২৪ জানুয়ারি থেকেই যাবতীয় উদযাপন শুরু করে কেন্দ্র। এবার তা একদিন এগিয়ে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, নতুন করে ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিকে বিশেষ ভাবে স্মরণ ও উদযাপন করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।অন্য বেশ কয়েকটি দিবসকেও বছরভর বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেগুলির মধ্যে রয়েছে ১৪ অগস্ট দেশভাগের ভয়াবহতা স্মরণ দিবস। ৩১ অক্টোবর জাতীয় ঐক্য দিবস যা পালন করা হয় সর্দার প্যাটেলের জন্মদিনে। ১৫ নভেম্বর জনজাতি গৌরব দিবস যা পালন করা হয় বিরসা মুন্ডার জন্মদিনে। ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। ২৬ ডিসেম্বর বীর বাল দিবস(এই দিনে গুরু গোবিন্দ সিংয়ের চার ছেলেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়)। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দিবস ইতিমধ্যেই পালিত হয়ে আসছে।নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত দেশের নানা স্থানকে আলাদা করে প্রোমোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বছর অক্টোবরে কেন্দ্রের পর্যটক মন্ত্রক আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের বার্ষিকীতে কিউরেটেড ট্যুরের পরিকল্পনার কথা জানায়।সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেশজুড়েই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীতে চলে কুচকাওয়াজ। এবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তী থেকেই সেসব চালু হয়ে যাবে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
বিদেশ

Corona Virus: কীভাবে ছড়িয়েছিল করোনা ভাইরাস? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে

মানুষের শরীরে করোনাকে বাসা বাঁধানোর চেষ্টাই চালানো হচ্ছিল উহানে ল্যাবে! সেই সময়ই কোনও ফাঁকে ভাইরাস বেরিয়ে অতি মহামারির রূপ নিয়েছে। চিনের এক গবেষণাগারে প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন নাম না জানা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। সেখান থেকেই কি কোনও ফাঁকে বেরিয়ে এসেছিল করোনা ভাইরাস? আর তাতেই বিশ্ব জুড়ে মৃ্ত্যু হয়েছে ৪৪ লক্ষ মানুষের? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকেই। আমেরিকা বারবার উহানের সেই ল্যাবের তত্ত্ব সামনে আনলেও, চিন বরাবরই তা উড়িয়ে দিয়েছে। মার্কিন গবেষকরা এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেননি। তবে এ বার উহান ল্যাব সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল মার্কিন রিপাবলিকান দল। তাঁদের গবেষকদের দাবি, উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা।আরও পড়ুনঃ উদ্বেগ বাড়িয়ে ডেল্টার প্রভাবে ফের বাড়ছে সংক্রমণসোমবার প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকা ও চিনের সরকারের যৌথ সহযোগিতায় চলা ওই উহান ল্যাবে করোনা নিয়ে গবেষণা চলছিল, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল যে কী ভাবে করোনা ভাইরাসকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত করানো সম্ভব। এমন প্রমাণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপাবলিকানদের এই রিপোর্টে। রিপাবলিকানের প্রতিনিধি মাইক ম্যাককাউন জানিয়েছেন, সোমবার একটি বিশেষ প্যানেলের তৈরি করা এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনেন। নতুন করে এই ইস্যু নিয়ে তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।রিপাবলিকানদের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, উহানের মাছের বাজার থেকে ভাইরাস ছড়িয়েছ, এমন তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়ার সময় এসেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

আগস্ট ০৩, ২০২১
দেশ

লালকেল্লায় উড়ল কৃষক আন্দোলনের পতাকা

লালকেল্লায় উড়ল কৃষক আন্দোলনের পতাকা। সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি চার্জ। কিছু দিয়েই পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না প্রতিবাদী কৃষকদের। তিন সীমানায় সব ব্যারিকেড ভেঙে চুরমার হল মঙ্গলবার। পুলিশের ঘোষিত পথে গেল না হাজার হাজার ট্র্যাক্টর। পথ পাল্টে লালকেল্লায় গিয়ে কৃষকদের মধ্যে থেকে আওয়াজ উঠল অকুপাই দিল্লিDelhi: Flags installed by protestors continue to fly at Red Fort. #FarmLaws #RepublicDay pic.twitter.com/U0SZnTw4Wn ANI (@ANI) January 26, 2021পুলিশ জানিয়েছিল, মঙ্গলবার সকাল ১২ টা নাগাদ কৃষকদের মিছিল নির্দিষ্ট তিনটি রুটে গিয়ে আবার উৎসস্থলে ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল উল্টো। সকাল ৮টা থেকে লাগামছাড়া গতিতে দিল্লির দিকে ধেয়ে আসতে থাকে মিছিল। পুলিশের বাধা কেউ মানেননি। আর তাই নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে দিল্লির নয়ডা মোড়, আইটিও মোড়েও একাধিক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাচ্ছে পুলিশ। চলছে লাঠি। পাল্টা কৃপাণ হাতেও কৃষকদের দেখা গিয়েছে। সকাল ১০টায় নয়ডা মোড়ের চিত্রটা ছিল এমনই। পুলিশ লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। মূলত দিল্লির সীমানা এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকার কারণে দিল্লির অন্দরে পুলিশের আঁটুনি দূর্বল হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে থাকেন কৃষকরা।दिल्ली: नांगलोई इलाके में प्रदर्शनकारी किसानों पर पुलिस ने आंसू गैस के गोले इस्तेमाल किए। pic.twitter.com/RP81oJVJYJ ANI_HindiNews (@AHindinews) January 26, 2021#WATCH A protestor hoists a flag from the ramparts of the Red Fort in Delhi#FarmLaws #RepublicDay pic.twitter.com/Mn6oeGLrxJ ANI (@ANI) January 26, 2021

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
দেশ

লাদাখে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন আইটিবিপি জওয়ানদের

প্রচণ্ড ঠান্ডা। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের প্রায় ৫০ ডিগ্রি নিচে। বরফাবৃত মরুভূমিতে এহেন পরিস্থিতিতেও সীমান্তে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করলেন ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের জওয়ানরা।লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে একটি বর্ডার আউটপোস্টে সকাল থেকে সাজ-সাজ রব পড়ে যায় জওয়ানদের মধ্যে। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জওয়ানরা। ভারত মাতা কি জয় স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। বলে রাখা ভাল, সীমান্তে ওঁত পেতে রয়েছে হানাদার চিনা বাহিনী। সুযোগ পেলেই থাবা বাড়াতে প্রস্তুত লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ। চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এই বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। এবার অতিরিক্ত ১০ হাজার জওয়ান ভরতি করে আরও সাতটি নতুন ব্যাটালিয়ন তৈরি করতে চলেছে এই বাহিনী।

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
দেশ

রাজপথে শক্তিপ্রদর্শন সেনার

ভারতের ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে শক্তিপ্রদর্শন করে সেনা। রাজপথে নামে ডিআরডিও-র ট্যাবলো। বায়ুসেনার কুচকাওয়াজে ছিলেন প্রথম মহিলা ফাইটার জেট পাইলট ভাবনা কান্ত। ছিল তেজসও। শক্তি প্রদর্শন করে পিনাকা রকেট লঞ্চার সিস্টেম, শিল্কা সিস্টেম। রাজপথে শক্তি প্রদর্শন টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংকের। ছিল ব্রহ্মসও। দিল্লির রাজপথে উত্তোলিত হল জাতীয় পতাকা। সাধারণতন্ত্র দিবসে বিশেষ পাগড়ি পরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পাগরি তাঁকে উপহার দিয়েছেন গুজরাতের জামনগরের রাজ পরিবার।#RepublicDay: Flt Lt Bhawna Kanth, one of the first three female fighter pilots of the country, is part of the Indian Air Force tableau at the Republic Day parade pic.twitter.com/60JSBMVtvZ ANI (@ANI) January 26, 2021কোভিড পরিস্থিতিতে এবার ব্যতিক্রমী সাধারণতন্ত্র দিবস পালন। মাস্ক পরে প্যারেড করেন জওয়ানরা। দর্শকাসনে উপস্থিত মাত্র ২৫ হাজার মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ হয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর।এই প্রথম বাংলাদেশ ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ করল৷ এই প্যারেডে বাংলাদেশের বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মহম্মদ শাহনুর শাওন৷

জানুয়ারি ২৬, ২০২১
দেশ

সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির ভাষণ

সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে এল করোনা থেকে সীমান্ত সংঘাতের প্রসঙ্গ। সম্ভাষণে দেশবাসীকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।এদিন দেশের করোনা যোদ্ধা ও সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। তিনি বলেন, সিয়াচেন ও লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি থেকে জয়সলমেরে ৫০ ডিগ্রি প্রচণ্ড উত্তাপেও দেশের সুরক্ষায় সদা সতর্ক রয়েছেন আমাদের যোদ্ধারা। খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল দেশকে আত্মনির্ভর বানিয়েছেন চাষিরা। করোনা আবহেও নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন তাঁরা। প্রত্যেক ভারতবাসী আজ তাঁদের স্যালুট জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করেছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। এই মহামারিতে ভারতে মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলোর থেকে কম থাকার নেপথ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষের অবদান রয়েছে।এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণে জায়গা করে নিয়েছে ভারত-চিন সংঘাত। সরাসরি চিনের নাম না করলেও গালওয়ান ও লাদাখের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করবে না দেশ। দেশের সেনবাহীনবীর সর্বাধিনায়ক হওয়ার সুবাদে এদিন দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার জন্য স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা সবসময় প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

জানুয়ারি ২৫, ২০২১
বিদেশ

ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ের পথে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন

হোয়াইট হাউস দখলের কাছাকাছি চলে গেলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। প্রসঙ্গত , হোয়াইট হাউস দখল করতে চাই ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট। সেখানে ইতিমধ্যেই ২৬৪টি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিডেন। আর মাত্র ৬ টা ভোট পেলেই তার দখলে চলে আসবে হোয়াইট হাউস। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন মাত্র ২১৪টি ভোট। মিশিগান ও উইসকনসিন ইতিমধ্যেই চলে গেছে বিডেনের দখলে। এদিকে, পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানে মামলা দায়ের করেছে ট্রাম্প শিবির। অন্যদিকে বিডেনও গতকাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে আইনি পথে পাল্টা মোকাবিলার জন্য তিনিও তৈরি আছেন। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে নিজের বাড়ি থেকে বাইডেন বলেন, দীর্ঘ গণনার পর এটাই স্পষ্ট হচ্ছে যে আমরাই জিতছি। ইতিমধ্যেই ভোটের ফল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ওয়াশিংটন। আরও পড়ুন ঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বিডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্রসঙ্গত , ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এত রাতে কেন ভোটগ্রহণ চলছে। কারচুপির অভিযোগে তিনি প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানান। সমর্থকদের সামনে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, আমেরিকার জনগণের সঙ্গে এটা প্রতারণা। আমরা নির্বাচনে জিততে চলেছি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হব। আমরা চাই সব ভোট বন্ধ হোক। পালটা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জো বিডেন বলেন , ট্রাম্পের মন্তব্য অপমানজনক।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
বিদেশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বিডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

হোয়াইট হাউস কার দখলে ? ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বিডেনের মধ্যে লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি। প্রথম দিকে জো বিডেন এগিয়ে থাকলেও পরে ধীরে ধীরে জমি ফিরে পাচ্ছেন ট্রাম্প। টক্কর চলছে সমানে সমানে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, জো বিডেনের হাতে রয়েছে ২২৫টি ইলেক্টোরাল ভোট। ট্রাম্পের ঝুলিতে রয়েছে ২১৩টি। ৫৩৮ আসনের ইলেক্টোরাল কলেজ-এ ম্যাজিক ফিগার ২৭০। আটটি রাজ্যের মধ্যে ৬ টিতেই ইতিমধ্যে এগিয়ে গেছেন ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দখলে গিয়েছে ফ্লোরিডা। এই ফ্লোরিডা রাজ্যকেই আমেরিকার রাজনীতি্র নির্ণায়ক বলা হয়। আরও পড়ুন ঃ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সন্ত্রাসবাদী হামলা , নিহত ৭ হোয়াইট হাউস থেক সরাসরি সমর্থকদের সামনে জয়ধ্বনি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সাফ জানান, আমরা নির্বাচন জিতেছি। এবার কারচুপি হলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করব। নর্থ ক্যারোলিনার মতো প্রদেশে আমরা জিতেছি। এবার যদি ফল অন্য আসে তার মনে বুঝতে হবে কারচুপি হয়েছে।এবার ফলাফল যদি অন্য কিছু হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে তাঁর দল। তিনি এদিন বলেন , নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ব্যালট জমা নিলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মতোই নিজেদের গড় রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে দুই দলই। ফলে ফলাফল নির্ভর করছে সুইং স্টেটগুলির উপর। অন্যবার এই সময়ে মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে আগামী চার বছর কার দখলে থাকছে হোয়াইট হাউস। কিন্তু এবার করোনা মহামারীর জেরে মেল-ইন-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন প্রায় ১০ কোটি মার্কিন জনতা। ফলে সেগুলির হিসেবে কিছুটা সময় লাগছে। যাই হোক, মার্কিন রাজনীতিতে বরাবরই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঠিক করে ব্যাটল গ্রাউন্ড স্টেটগুলি। এবারও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে।

নভেম্বর ০৪, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

আইজেএ এর উদ্যোগে সাংবাদিকতা কর্মশালা বর্ধমানে

প্রতি বছরের মতো এবারও সাংবাদিক সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখার উদ্যোগে হয়ে গেল সাংবাদিকতা বিষয়ে কর্মশালা। রবিবার বর্ধমান বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং বিবেকানন্দ কলেজের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় পঞ্চাশ জন অংশ নেন।কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল । ছিলেন এভারেস্ট বিজয়ী সৌমেন সরকার, কাউন্সিলার ও সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ অনিমেষ দেবনাথ, ওই কলেজের গণ জ্ঞাপন বিভাগের প্রধান বিনয় হাজরা, আইজেএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারকনাথ রায় প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজেএর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরূপ লাহা। সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি স্বপন মুখার্জি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জগন্নাথ ভৌমিক। কর্মশালায় ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, ডিজিটাল এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ দেন তন্ময় প্রামাণিক, জয়প্রকাশ দাস, পার্থ চৌধুরী ও শুভেন্দু সাঁই। এদিন বৃক্ষবন্ধু সমন্বয় দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের হাতে একটি করে গাছের চারা উপহার হিসাবে দেওয়া হয়।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

সৌরভ এবার নতুন ভূমিকায়, বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হতে রাজি

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার নতুন ভূমিকায়। বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন মহারাজ, চিফ প্যাট্রন হিসেবে। সেখানেই সৌরভকে প্রস্তাব দেওয়া হয় শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হওয়ার জন্য।সৌরভদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেই সঙ্গে সৌরভ নিজেও একজন উদ্যোগপতি। ইতিমধ্যেই তাঁর ইস্পাত কারখানা আছে। আরও একটি কারখানাও গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। বাণিজ্যিক সংস্থার মুখ হিসেবেও সৌরভের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। সেপ্টেম্বরে তিনি সিএবি সভাপতিও হতে চলেছেন। ফলে প্রবল ব্যস্ততা। তবে তার মধ্যেই সৌরভ রাজি হলেন বর্তমান ও আগামীর শিল্পোদ্যোগীদের মেন্টর হিসেবে নয়া ভূমিকা পালন করতে।সৌরভের কথায়, সব ক্ষেত্রেই চাপ থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কিছুকে চাপ হিসেবে না ভেবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে। সৌরভ বলেন, যখন ম্যাকগ্রা, শোয়েবদের খেলতাম তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয় বল লাগলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আরেকটা হলো, যে বল আসুক তা আমি সামলাব। দ্বিতীয় ভাবনা প্রথম ভাবনাকে ছাপিয়ে গেলেই পরিস্থিতিটা সহজ হয়ে যায়। ক্রিকেট খেলায় সব সময় চ্যালেঞ্জ ছিল। যা খেলা ছাড়ার পর অনেকদিন মিস করেছি। খেলায় রি-টেক হয় না। একজন আমাকে বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে কেন ফিল্ডিং নিয়েছিলাম? তাঁকে বলি, আপনার ১০ বছর পর এই অনুভূতি এলেও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল সেই মুহূর্তেই। তবে ক্রিকেট খেলাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সব কিছুকেই নতুন সুযোগ হিসেবে দেখি। রোজ সাফল্য আসে না। কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষাতেও যে সাফল্যের বীজমন্ত্র লুকিয়ে থাকে তা স্পষ্ট করলেন সৌরভ।সকলের কাজ বা ভাবনার ধরন এক নয়। তবে তাতে বড় ফারাক কিছু আসে না। সৌরভ বলেন, পাকিস্তান সফরে পারভেজ মুশারফ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এঁকে কোথায় পেলেন? তখন ধোনির বড় চুল। বড় ছক্কা হাঁকাতে পারেন। সৌরভের জবাব ছিল, আমাদের দেশে এমন প্রতিভা প্রচুর। শুনে মুশারফ বলেছিলেন, ওঁকে দুটো কথা বলবেন। উনি যেন এমন লম্বা চুল রাখেন, আর ছক্কা হাঁকানোর পথ থেকে না সরেন। সৌরভ গতকাল বলেন, সেই ধোনিকেই পরে লাগাতার খুচরো রান নিতে দেখেছি। পরিস্থিতি অনুধাবন করে তিনি এভাবে নিজেকে বদলালেও আমার মনে হয়, ধোনি তো আগের মতোই খেলতে পারেন। আবার ঋষভ পন্থকে যখন আগ্রাসী হিসেবে কিছু সাহসী শট খেলতে দেখি, তখন মনে হয় এমন শট খেলার কী দরকার ছিল? কিন্তু পন্থের ভাবনা অন্য। যা স্বাভাবিক। নিজের প্রতি সৎ থাকলেই সব বাধা অতিক্রম করা যায় বলে পরামর্শ দেন মহারাজ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ওভাল টেস্ট জিততে ভারতের কী করণীয়? মূল্যবান পরামর্শ সৌরভের

ম্যাঞ্চেস্টারেই সিরিজ হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ব্যাটিংয়ের দৌলতে পাঁচ টেস্টের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট ড্র রাখতে পেরেছে শুভমান গিলের ভারত। ওভালে ভারত জিতলে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ ড্র রেখে ফিরতে পারবে। সেই সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শেষদিন যেভাবে ব্যাট করে ভারত টেস্ট ড্র রাখতে পারল তাতে তাদের নিশ্চিতভাবেই মনে হবে লর্ডসে জেতাও উচিত ছিল। ১৯৩ রানের টার্গেট সফলভাবে তাড়া না করতে পারার দুঃখ হওয়াও অসম্ভব নয়। লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, ঋষভ পন্থ এই সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। অনেক দিন পর বিদেশে কোনও টেস্টে একসঙ্গে এতজন বড় রান পেলেন। এই পারফরম্যান্স আগামী দিনেও যে ভারতীয় দলের মনোবল বাড়াবে তা নিয়ে সংশয় নেই মহারাজের।ওভাল টেস্টে জিততে অবশ্য ভারতের বোলিং বিভাগে উন্নতি চান সৌরভ। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে সৌরভ পরামর্শ দিলেন কুলদীপ যাদবকে একাদশে রেখে বোলিং বিভাগ সাজাতে। তাতে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে টেস্ট জিততে পারে ভারত। টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের ট্র্যাক রেকর্ড সমালোচনার মুখে পড়েছে। সৌরভ অবশ্য গম্ভীরের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল। ফলে সময় দিতে হবে। তরুণ ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ইংল্যান্ডে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক লক্ষণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে সৌরভের বক্তব্যে ঝড়! তবে যুক্তির বালাই নেই

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা হয়েছে। তাতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। এ ছাড়া সুপার ফোর আর ফাইনালেও দুই দলের দ্বৈরথের সম্ভাবনা। এশিয়া কাপের আসর বসছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। বর্তমানে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসীন নাকভি, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও।বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে গতকাল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, পহেলগাঁওয়ের ঘটনা কাম্য নয়। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, এমন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর ঘটবে না। একইসঙ্গে আমি মনে করি, খেলাধুলো চালিয়ে যাওয়া উচিত।এরপরেই কিছু সংবাদমাধ্যম সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না দেখিয়ে একাংশ প্রচার করতে থাকে। যা নিয়ে সৌরভের সমালোচনায় নেমে পড়েন রাজ্যের বিজেপি নেতারাও। সৌরভের বক্তব্যের পুরোটা না শুনেই, কিংবা পরিস্থিতি অনুধাবন না করেই। যার ফলে সেই বিজেপি নেতাদের একচোখামিও সামনে এসেছে।এশিয়া কাপের সূচি অনুমোদিত হয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায়। যে সভায় বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের সম্মতি ছাড়া তো এশিয়া কাপের সূচি ঘোষিত হতে পারে না। লেজেন্ডদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ভারত খেলেনি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশ্যে বলেনি বা বিসিসিআইকে নির্দেশ দেয়নি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। তা দিয়ে থাকলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বৈঠকেই তা জানাত বিসিসিআই। বোর্ড সচিব এখন দেবজিৎ সাইকিয়া, যিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘনিষ্ঠ। তাঁকে প্রশ্ন করার সাহস সেই মিডিয়ার নেই যারা সৌরভকে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে! কেন বিসিসিআইকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না?সৌরভকে সফট টার্গেট করা কি টিআরপি বাড়াতে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন চান ভারত-পাক দ্বৈরথ হোক। হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টে হোক। নাহলে সবটাই বন্ধ থাকুক। সৌরভ নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে। মতামত ব্যক্ত করা গণতান্ত্রিক অধিকার। আর তা নিয়েই বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা।সৌরভ গতকালের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কমেন্ট সেকশন তিনি দেখেন না। ফলে কে কী বলল তাতে যায় আসে না। নিজের সততা বজায় রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

জুলাই ২৮, ২০২৫
রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal